প্রতিচ্ছবি নেত্রকোণা প্রতিনিধি:
নেত্রকোণার মদনে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে এক শিশুকে জলন্ত সিগারেটের ছেকা ও নখে সুঁই ডুকিয়ে ঘরের পালায় দড়ি দিয়ে বেধেঁ অমানবিক নির্যাতন করার এক অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের জাওলা গ্রামে রোববার এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করায় আসামী পক্ষের লোকজন বাদীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। শিশু পিয়াস মদন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা মজনু মিয়া বিচার চেয়ে মঙ্গলবার রাতে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সে জাওলা গ্রামের দিনমজুর মজনু মিয়ার ছেলে। নির্যাতনের শিকার শিশু পিয়াস জানায়, রোববার জাওলা গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ঘর থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়।
এর অপবাদে আমাকে প্রতিবেশী ইদ্রিস মিয়া আমার ঘর থেকে টেনে হিছরে তার ঘরে নিয়ে পালার সাথে বেধেঁ আমার আঙ্গুলে জলন্ত সিগেরেটের ছেকা দেয় এবং পায়ের নখে সুইঁ ডুকিয়ে নানা ভাবে নির্যাতন করে। আমার ডাক চিৎকার শোনে মা ছোটে এলে তাকেও মারপিট করে । পরে আমাকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমি কোন মোবাইল চুরি করিনি। আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এ নির্যাতন চালিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
শিশু পিয়াসের বাবা মজনু মিয়া জানান, আমি দুই দিন পরে বাড়িতে এসে শুনি আমার ছেলেকে মোবাইল ফোন চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নানান নির্যাতন করলে আমার স্ত্রী বাধা দেয় এতে তাকেও মারপিট করে। এর বিচার চেয়ে আমি মদন থানায় একটি অভিযোগ করায় আমাকে ইদ্রিস মিয়া ও তার লোকজন হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাফায়েত উল্লাহ রয়েল জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি, তবে শিশু নিার্যতন খুবই দুঃখ জনক।
মোঃ আজহারুল ইসলাম ওসি(তদন্ত) অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য বুধবার ঘটনা স্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ইদ্রিস মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মিজানুর রহমান লাক/ইএ