প্রতিচ্ছবি প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে পোশাক কারখানাগুলোর মধ্যে ৮৮ শতাংশের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে শ্রমিকের জীবনের নিরপত্তার জন্য ঝুকিপূর্ণ ৮৪ শতাংশ সংস্কার কাজ অন্তর্ভুক্ত আছে।
এ তথ্য জানিয়ে উত্তর আমেরিকার ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেন, প্রতিযোগী ভিয়েতনাম এবং ভারত, কর্মপরিবেশের নিরাপত্তায় এখন বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে।
আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের কোন সংস্থা অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম বুঝে নিতে না পারলে, তদারকির জন্য অ্যালায়েন্স নিজেই একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারে বলেও, জানান মরিয়ার্টি।
রানা প্লাজা ধসের পর, দেশের তৈরি পোশাক কারখানা সংস্কারের জন্য উত্তর আমেরিকার ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্সের প্রায় ৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এই ৫ বছরে তাদের সাফল্য তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৫ বছরে অ্যালায়েন্সের শর্ত পুরণ না করতে পেরে ১৭০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আর ৬৬৬ টি কারখানার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে ৮৮ শতাংশ। এর মধ্যে ৩২২ টি কারখানা শতভাগ সংশোধন হয়েছে বলে জানান, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক জেমস এফ মরিয়ার্টি।
আগামী মে মাসেই অ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজ সম্পূর্ণভাবে বুঝিয়ে দিতে আরো ৬ মাস লাগবে বলে জানান মরিয়ার্টি। এসময়ের মধ্যে একটি আস্থাভাজন কোন সংস্থার কাছে, তদারকির দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চায় অ্যালায়েন্স।
বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় যে নিরাপদ কর্মপরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরনী বলে মরিয়ার্টি মনে করেন।
পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ উন্নয়নের এই বার্তা বর্হিবিশ্বের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে জানান জেমস এফ মরিয়ার্টি।
এআর